সবচেয়ে কম দামে ল্যাপটপ ২০২৪
ল্যাপটপ আমাদের জন্য নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় একটি সামগ্রী হয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের বাসা বাড়ির, অফিসের কাজে, পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজে একটি ল্যাপটপ প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু ল্যাপটপের আকাশ ছোঁয়া দামের জন্য অনেকের সামর্থের বাইরে চলে গেছে। আজকে আমি আপনাদের সবচেয়ে কম দামে ল্যাপটপ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।
সবচেয়ে কম দামে ল্যাপটপ ২০২৪
শুধু কম দামে ল্যাপটপ কিনলেই হবেনা। এর আগে আমাদের অবশ্যই কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। তা হলো ল্যাপটপটি আপনি কোন কাজে ব্যবহার করবেন সেই অনুযায়ী কনফিগারেশন দেখতে হবে। তবে তার আগে জানতে হবে আমরা কম দামে ল্যাপটপ কিভাবে পেতে পারি? আমরা দুই ভাবে কম দামে ল্যাপটপ পেতে পারি।
১.অন্যের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ক্রয় করা।
(অনেক সময় দেখা যায় কেউ একজন একটা ল্যাপটপ ক্রয় করার ২-৩ মাস পর যেকোনো কারণে সেটা বিক্রি করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারিঃ আমি নতুন একটি ল্যাপটপ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এখন পাঁচ ছয় মাস ব্যবহার করার পর যে কোনো কারণে সেটা আমি বিক্রি করে দিব ৫০ হাজার টাকায়।) মার্কেটে এমন অনেক ল্যাপটপ আছে যেগুলা আপনারা কিনতে পারবেন।
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে আপনারা অবশ্যই সেটা কিছুক্ষণ চালিয়ে দেখবেন। কারণ অনেক ল্যাপটপে হিট ইস্যু দেখা যায়। যার কারণে পরবর্তীতে ব্যাটারির ব্যাকআপ খুব কম দেয় এবং বিভিন্ন পারফরমেন্সেও খুব স্লো হয়ে যায়।
২.কম দামি নতুন ল্যাপটপ কেনা।
(এক্ষেত্রে আপনারা বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবেন। হয়তো আপনার আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আপনাদের বাজেটে সেই কনফিগারেশন পাবেন না)
সবচেয়ে কম দামে ল্যাপটপ কেনার আগে কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?
আপনি যে কাজ করবেন সেই কাজের অনুযায়ী আপনাদেরকে আগে কনফিগারেশনটা বাছাই করে নিতে হবে।
প্রসেসরঃ এটার পূর্ণরূপ হল সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা CPU. এটাকে একটা ল্যাপটপের প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। কারণ এটি ইন্সট্রাকশনের মাধ্যমে কম্পিউটারের যাবতীয় কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করে।
র্যামঃ এটা আপনার কাজক্রমকে আরো দ্রুত করে যদি বেশি থাকে তাহলে আপনারা যে কোন ভারী সফটওয়্যার সহজে রান করতে পারবেন।
ব্যাটারিঃ যেহেতু আমাদের দেশে একটু লোডশেডিং সমস্যা রয়েছে। তাই ব্যাটারি ব্যাকআপের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যাতে করে লোডশেডিং এর সময় আমাদের কাজে কোন ব্যাঘাত না ঘটে।
হার্ডডিক্সঃ এটি শুধু আপনারা স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন বিভিন্ন ফাইল রাখার জন্য। আপনার হার্ডডিস্ক যত বড় হবে আপনি তত বেশি ফাইল আপনার ল্যাপটপে জমা রাখতে পারবেন।
এসএসডিঃ সাধারণত ল্যাপটপকে আরো ফাস্ট করে তোলে। ল্যাপটপের বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন আমাদের যাদের ল্যাপটপে এসএসডি রয়েছে তার সাধারণত এসএসডিতে উইন্ডোজ টা ইন্সটল করে থাকি এতে করে উইন্ডোজটা আরো ফাস্ট কাজ করে।
সবচেয়ে কম দামে ল্যাপটপ
Lenovo IdeaPad Slim 3i 15IGL Intel CDC N4020 – এই ল্যাপটপটি বর্তমানে আপনারা ৩৪ থেকে ৩৬ হাজার টাকার মধ্যেই মার্কেটে পেয়ে যাবেন।
কনফিগারেশন:
Processor: Intel Celeron N4020 (4M Cache, 1.10 GHz up to 2.80 GHz)
Ram: 4GB DDR4, Storage: 1TB HDD
Display: 15.6″ HD (1366 x 768)
Graphic: Integrated Intel UHD Graphics 600
Warranty: 2 years International Limited Warranty (Battery 1 year)
Lenovo IdeaPad D330 10IGL Celeron N4020 Laptop – এই ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারে দাম অনুযায়ী ২৭ থেকে ২৯ হাজার টাকার মধ্যে আপনারা পেয়ে যাবেন।
কনফিগারেশন:
Processor: Intel Celeron N4020 (4M Cache,1.10 GHz up to 2.80 GHz)
RAM: 4GB DDR4 Storage: 128GB eMMC SSD
Display: 10.1″ (1280 x 800) HD
Graphics: Intel UHD 600 Graphics
Warranty : 1 year Limited Warranty (1 year for Battery and Adapter, Lenovo Terms & conditions Apply)
Chuwi HeroBook Pro Intel Celeron N4020 Laptop – বাজার মূল্য অনুযায়ী ২৯ হাজার থেকে ৩১ হাজারের মধ্যেই এই ল্যাপটপটি আপনারা পেয়ে যাবেন।
কনফিগারেশন:
Processor: Intel Celeron Processor N4020 (4M Cache, 1.10 GHz up to 2.80 GHz)
Ram: 8GB LPDDR4 RAM
Display: 14.1″ FDH (1920 x 1080)
Graphic: Intel UHD Graphics 600
Warranty: 2 years
বর্তমানে কম দামি ল্যাপটপ গুলা ব্যাকডেট হয়ে গেছে যার কারণে মার্কেটে অ্যাভেলেবল পাওয়া যায় না। তো আপনারা যদি এসব ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে আপনাদেরকে হয়তো মার্কেটের বিভিন্ন শপ একটু খুঁজতে হবে।
১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ২০২৩
ওয়ালটন ল্যাপটপ এর দাম ২০২৪
অনেকেই ভাবেন ওয়ালটন বাংলাদেশি কোম্পানি। যার কারণে কেউ এদের ল্যাপটপ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন না। তবে সবার উচিত ওয়ালটন যেহেতু আমাদের দেশি কোম্পানি তাই এদের বিভিন্ন পণ্যগুলো আমাদের ব্যবহার করা।
৪০০০০ টাকার মধ্যে ভালো ওয়ালটন ল্যাপটপ
Walton Prelude N41 Pro Laptop – ল্যাপটপের প্রাইজ গুলো বিভিন্ন সময়ে ওঠানামা করে। বর্তমানে ৩৮ থেকে ৪১ হাজার টাকার মধ্যে আপনারা এই ল্যাপটপটি পাবেন।
কনফিগারেশন:
Processor: Intel Celeron N4120 (4MB Cache, 1.10 GHz up to 2.60 GHz)
RAM: 8GB DDR4, Storage: 256GB SSD
Display: 14″ FHD (1920×1080)
Graphic: Intel UHD Graphics 600
Warranty: 1 Year
Walton Prelude N50 Pro Lpatop – এই ল্যাপটপটি ৪২ থেকে ৪৬ হাজার টাকার মধ্যে আপনারা পেয়ে যাবেন।
কনফিগারেশন:
Processor: Intel Pentium Silver N5030 (4MB Cache, 1.10 GHz up to 3.10 GHz)
RAM: 8GB DDR4, Storage: 256GB SSD
Display: 14″ FHD (1920×1080)
Graphic: Intel UHD Graphics 605
Warranty: 1 Year
দামি ওয়ালটন ল্যাপটপ
Walton Tamarind MX311G Core i3 11th Gen Laptop – বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী 60 থেকে 62 হাজার টাকার ভেতরে আপনার এটি ক্রয় করতে পারবেন
কনফিগারেশন:
Processor: Intel Core i3-1115G4 (6M Cache, 3.00 GHz up to 4.10 GHz)
RAM: 8GB 3200MHz, Storage: 512GB SSD
Display: 14″ FHD (1920 x 1080)
Graphic: Intel UHD Graphics
Warranty: 2 Years
Walton Tamarind MX511G Core i5 11th Gen – এই ল্যাপটপটি আপনারা ৭৪ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।
কনফিগারেশন:
Processor: Intel Core i5-1135G7 (8M Cache, 2.40 GHz up to 4.20 GHz)
RAM: 8GB 3200MHz, Storage: 512GB SSD
Display: 14″ FHD (1920 x 1080)
Graphic: Intel UHD Graphics
Warranty: 2 Years
৪০ হাজার টাকার মধ্যে ল্যাপটপ
অনেকেই ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের ল্যাপটপ খুঁজে দেখেন আমি চেষ্টা করব আপনাদেরকে এখন কিছু ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের কিছু ল্যাপটপ সম্পর্কে বলতে। এখান থেকে আপনারা আপনাদের পছন্দের মত যে কোন ল্যাপটপ কিনতে পারেন। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন এখানে আপনারা যে প্রাইস টা দেখতে পারবেন হয়তো আপনারা কেনার সময় সেই প্রাইসে থেকে বেশি প্রাইস দেখতে পারেন। কারণ ল্যাপটপের প্রাইস প্রায়ই উঠানামা করে। তাই আমার এই ওয়েবসাইটে কোন কিছুর প্রাইস দেখার পরেই সেটা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিবেন না। অবশ্যই গুগলে গিয়ে সেই ল্যাপটপের বর্তমান দাম টা দেখে নিবেন।
Price: বর্তমান প্রাইস ৩৭ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে।
Asus P1511CMA Intel Celeron N4020
Processor: Intel Celeron N4020 (4M Cache, 1.10 GHz up to 2.80 GHz)
Ram: 4GB DDR4, Storage: 1TB HDD
Display: 15.6″ HD (1366 x 768)
Price: এই ল্যাপটপের দাম পড়বে ৩৯ থেকে ৪৩ হাজার টাকা। অনেক সময় স্টকের উপর ডিপেন্ড করে ল্যাপটপের দাম বেড়ে যায়।
HP 15s-fq0515TU Intel CQC N4100
Processor: Intel Celeron N4100 (4MB L2 Cache, up to 2.4 GHz)
আমি চেষ্টা করেছি বিভিন্ন সোর্স থেকে তথ্যগুলো নিয়ে আপনাদেরকে দেয়ার জন্য। আপনারা অবশ্যই ল্যাপটপ কেনার আগে গুগল থেকে তার বর্তমান প্রাইসটি জেনে নিবেন। কারণ উপরের আর্টিকেলটি গুগলের বর্তমান ল্যাপটপ বাজারের প্রাইস এবং তথ্য নিয়ে তৈরি করা এবং এটি যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে।