ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর আসন সংখ্যা | ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছো সবাই। আশা করি সবাই ভাল আছো। কিছুদিন আগে তোমাদের এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়েছে। এখন সবাই ভর্তি হওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে আছো। তোমাদের মধ্যে অনেকেরই ইচ্ছা থাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার। তো চাইলেই যে কেউ এখানে ভর্তি হতে পারবে না। ভর্তি হওয়ার জন্য অবশ্যই তোমাকে ভর্তির আবেদন করে এখানে চান্স পেতে হবে। তোমাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর আসন সংখ্যা কত। আজকে আমি তোমাদেরকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর আসন সংখ্যা এবং এখানে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এখন আমি তোমাদেরকে আমার পরিচয়টা দিয়ে নেই।
আমি এখন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যায়ন করছি
টেকনোলজিঃ ইলেকট্রনিক্স
পর্বঃ ৮ম
শিফটঃ ১ম
সেশনঃ ১৯-২০
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর আসন সংখ্যা
টেকনোলজি | আসন সংখ্যা ( উভয় শিফটে) |
সিভিল | ২০০ |
ইলেকট্রিক্যাল | ১৫০ |
ইলেকট্রনিক্স | ১০০ |
মেকানিক্যাল | ১৫০ |
কম্পিউটার | ১০০ |
আর্কিটেকচার | ১০০ |
কেমিক্যাল | ১০০ |
অটোমোবাইল | ১০০ |
ফুড | ১০০ |
রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং | ১০০ |
এনভায়রনমেন্টাল | ৫০ |
তোমরা উপরে প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের আসন সংখ্যা দেখতে পেলে। তোমরা দেখলে যে সিভিল টেকনোলজিতে আসন সংখ্যা রয়েছে ২০০ টি । তোমরা সকলেই জানো প্রতিটি পলিটেকনিকে দুটি শিফট রয়েছে।একটি হলো সকালের শিফট আরেকটি হলো দুপুরের শিফট। তো এখানে সিভিল টেকনোলজিতে সকালের শিফটের ২০০টি আসন সংখ্যা এবং বিকেলের শিফট ২০০টি আসন সংখ্যা। সর্বমোট ৪০০টি আসন সংখ্যা রয়েছে। তোমরা উপরে দেখেছো যে ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজিতে ১০০ আসন সংখ্যা রয়েছে। এখানে সকালের শিফটে ১০০টি আসন সংখ্যা এবং বিকালে ১০০টি আসন সংখ্যা। সর্ব মোট ২০০টি আসন সংখ্যা রয়েছে ।এভাবে উপরের প্রতিটি টেকনোলজিতে আসন সংখ্যা রয়েছে।
ঢাকা পলিটেকনিকে ভর্তির যোগ্যতা
গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে তোমাদের পলিটেকনিকে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদেরই ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। তবে চাইলে যে কেউ এখানে ভর্তি হতে পারবে না। এর জন্য অবশ্যই তাকে যেখানে চান্স পেতে হবে। তাহলে কি এখানে সবাই চান্স পেতে পারবে। উত্তরটি হলো না।
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে ঢাকা পলিটেকনিকে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা কি? তোমরা হয়তো সকলে যেন বাংলাদেশের মধ্যে এক নম্বর পলিটেকনিক হল ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। আসলে এখানে চান্স পেতে হলে ভালো পয়েন্ট এবং ভাল ভাগ্য দুটোই লাগবে। অনেকেরই ৫.০০ তেও চান্স হয়না আবার অনেকের ৪.৮০ তেই চান্স হয়ে যায়। তো এখন মনে করো তোমার পয়েন্ট অনেক কম কিন্তু তোমার ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করার আগ্রহ টা অনেক বেশি রয়েছে।
তাহলে তুমি এখন যেটা করতে পারো সেটা হলো তোমার পয়েন্ট অনুযায়ী তোমার পছন্দের সাবজেক্টটি যে পলিটেকনিক আসতে পারে সেখানে তুমি চয়েস দাও। আর প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা দিয়ে তোমাদের পলিটেকনিকের ট্রান্সফারের একটা সুযোগ দেওয়া হবে। তখন তোমরা ট্রান্সফার নিয়ে ঢাকা পলিটেকনিকে চলে আসবে। তোমরা প্রথম সেমিস্টার থেকে তৃতীয় সেমিস্টার পর্যন্ত ট্রান্সফার নেওয়ার সুযোগ পাবে।
তোমাদের সকলের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।